ঢাকা, সোমবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ডিজিটাল বাংলাদেশের মাধ্যমে শহর-গ্রামের দূরত্ব কমিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী: পলক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৮ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২২
ডিজিটাল বাংলাদেশের মাধ্যমে শহর-গ্রামের দূরত্ব কমিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী: পলক

দিনাজপুর: ডিজিটাল বাংলাদেশের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহর থেকে গ্রামের দূরত্ব কমিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

মঙ্গলবার (৩১ মে) সকালে দিনাজপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উদ্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী।

৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে সেন্টারটি। উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন পলক। এ সময় তিনি মন্তব্যটি করেন।

পলক বলেন, গত ১৩ বছরে আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশের কল্যাণে শহর এবং গ্রামের দূরত্ব কমিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ধনী এবং দরিদ্র বৈষম্য দূর করেছেন। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেবা প্রতিষ্ঠা করে মানুষের দোরগোড়ায় ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দিয়েছেন। প্রায় ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকা বা বিদেশমুখী তরুণ-তরুণীরা যাতে দিনাজপুরে বসে আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারেন সেটিই এখন লক্ষ্য বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, সরকারি কলেজ ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে ২ একর জায়গায় ৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপিত হচ্ছে। এতে প্রতি বছর ১ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হবে। ৩ হাজারের বেশি তরুণ-তরুণীকে আমরা প্রশিক্ষণ দিতে পারব। এ সময় দিনাজপুরের তরুণ প্রজন্মের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইটি পার্ক উপহার হিসেবে দিয়েছেন বলে জানান পলক।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, এসএসসি-এইচএসসি পাশ করে ৬ মাস বা ১ বছরের ট্রেনিং নিয়ে শিক্ষার্থীরা যেন আইটি ফ্রিল্যান্সার হতে পারে। ছোট ছোট উদ্যোগ নিয়ে তারা যেন উদ্যোক্তা হয়ে আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারে; সেজন্য ৬৪ জেলায় আইটি পার্ক তৈরি হচ্ছে।

দিনাজপুরে হাজার হাজার আইটি ফ্রিল্যান্সার লাখ লাখ ডলার আয় করছেন। এ মুহূর্তে বাংলাদেশের শতভাগ বাড়ি বিদ্যুতের আওতায় এসেছে। উচ্চ গতির ইন্টারনেট জেলা-উপজেলা এমনকি সাড়ে ৪ হাজার ইউনিয়ন পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। প্রধানমন্ত্রী সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় ইন্টারনেট বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রযুক্তি নির্ভর কর্মসংস্থানের জন্য দুটি জিনিস প্রয়োজন। একটি নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ, অন্যটি উচ্চ গতির ইন্টারনেট। এ দুটি সেবা আমরা গ্রামে গ্রামে পৌঁছে দেওয়ার কারণে যেকোনো প্রান্তে যেকোনো কোম্পানিতে আমাদের দিনাজপুর জেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে উদ্যোগীরা অনলাইন মার্কেট প্লেসে কাজ করতে পারছেন। সজীব ওয়াজেদ জয় টার্গেট দিয়েছেন; ২৫ মাসের মধ্যে আমরা ৩০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান প্রযুক্তি শিল্পে নিশ্চিত করতে চাই।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর দিনাজপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে আলোচনা সভা হয়। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ডিজেল প্ল্যান্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. রফিকুল ইসলাম, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন (১১টি) শীর্ষক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক একেএম আবদুল্লাহ খান, জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকি, লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (উপ-সচিব) মো. হুমায়ুন কবীর, দিনাজপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবু বকর সিদ্দিক, জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইমাম চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) শচীন চাকমা, সাবেক এমপি ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী সুলতানা বুলবুল প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২২
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।