ঢাকা, বুধবার, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৫ মে ২০২৪, ০৬ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

২৩ বছর ছদ্মবেশে থেকেও ধরা দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২২
২৩ বছর ছদ্মবেশে থেকেও ধরা দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি

মানিকগঞ্জ: আলোচিত কাবুল হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি বিপ্লবকে (৫০) আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-৪)। আটক হওয়ার আগে দীর্ঘ ২৩ বছর বিভিন্ন রূপে ছদ্মবেশ ধারণ করেছিলেন তিনি।

শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিপ্লবকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিপিসি-৩ মানিকগঞ্জ অঞ্চলের র‌্যাব-৪ কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ আরিফ হোসেন। রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে বিপ্লবকে আটক করা হয়।

জানা গেছে, ১৯৯৯ সালের জুলাই মাসের প্রথম দিকে রাজনৈতিক মত বিরোধের জের ধরে আসামি বিপ্লব ও তার সহযোগীরা সদর থানার গড়পাড়া এলাকার মোতালেব হোসেনের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় ধারালো অস্ত্রের ব্যবহার করেন তারা। কিন্তু সে সময় বাড়িতে ছিলেন না মোতালেব। ফিরে আসার সময় স্থানীয় কাবুলকে রাস্তার পান বিপ্লব ও তার সহযোগীরা। পরে তাকে কুপিয়ে আহত করে রাস্তায় ফেলে রাখেন বিপ্লবরা।

পরে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত কাবুলকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা দেন। এ ঘটনায় বিপ্লবসহ ২৮ থেকে ৩০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন মোতালেব। দীর্ঘ তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামি বিপ্লব, মনির চৌধুরী, নিপ্পাই, মোশারফ হোসেন, সুনীল, উজ্জ্বল, শহীদসহ ১৩ জন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ পত্র দায়ের করেন।

অভিযোগ পত্রের ওপর ভিত্তি করে আদালত আসামি বিপ্লব ও মনির চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ড ও নিপ্পাই, মোশারফ হোসেন, সুনীল, উজ্জ্বল, শহীদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। বাকি ছয় আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। পরবর্তীতে আসামি মনির চৌধুরীর আইনজীবী উচ্চ আদালতে আপিল করেন। এর ভিত্তিতে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল, ঢাকা ৭ আসামিকে যাবজ্জীবন সাজার রায় দেন।

কারাগারে থাকা অবস্থায় আসামি মোশাররফ হোসেন গত চার বছর আগে মারা যান। আসামি উজ্জ্বল উচ্চ আদালতে আপিল করে বেকসুর খালাস পান। পালিয়ে যান আসামি বিপ্লব।

সিপিসি-৩ মানিকগঞ্জ অঞ্চলের র‌্যাব-৪ কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ আরিফ হোসেন বলেন, বিপ্লব লোকচক্ষুর আড়ালে থাকতে জাতীয় পরিচয় পত্রে বাবা-মার নাম ঠিক রেখে নিজের নাম পরিবর্তন করেন। তার বর্তমান নাম শহিদুল ইসলাম। তিনি দোকানের কর্মচারী, ইলেকট্রিক মিস্ত্রী হিসেবে কাজ করতেন। পরবর্তীতে আগারগাঁওয়ের পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভিন্ন কাজের দালালি করে জীবিকা নির্বাহ করতে শুরু করেন। বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে র‌্যাব-৪ এর একটি দল রাজধানীর ৬০ ফিট এলাকার ভাঙা ব্রিজে অভিযান পরিচালনা করে ২৩ বছর ধরে পলাতক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি বিপ্লবকে আটক করে। পরে তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২২
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।