ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১০ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৫ জুলাই ২০২৪, ১৮ মহররম ১৪৪৬

জাতীয়

আগৈলঝাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ চিকিৎসকের কারণে রোগীরা সেবা বঞ্চিত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২৪
আগৈলঝাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ চিকিৎসকের কারণে রোগীরা সেবা বঞ্চিত

বরিশাল: সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে সরকার নানা উদ্যোগ নিলেও তা কাজে আসছে না। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় রোগীদের, পোহাতে হয় দুর্ভোগ।

নিরুপায় হয়ে অনেকে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হন।

আগৈলঝাড়া উপজেলার ৫০ শয্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তিন চিকিৎসকের কারণে রোগীরা ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। আবু বকর সিদ্দিক, সোমা হালদার, শাহানা রহমান নামে তিনি চিকিৎসক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদানের পর থেকে এক প্রকার অনুপস্থিত। যার খড়্গ পড়েছে হাসপাতালে। উপজেলার স্বাস্থ্য সেবাতেও বেহাল দশা।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ডা. আবু বকর সিদ্দিক ২০১১ সালের ১ জুলাই আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগ দেন। মাত্র পাঁচ মাস তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দেন। ২০১২ সালের ৪ জানুয়ারি থেকে তিনি অনুপস্থিত।

২০১৪ সালের ৮ অক্টোবর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগ দেন ডা. সোমা হালদার। এক বছর কর্ম পালনের পর ২০১৫ সালের ৫ নভেম্বর থেকে তিনি অনুপস্থিত।

২০২৩ সালের ২৫ নভেম্বর হাসপাতালে যোগ দিয়েছিলেন ডা. শাহানা রহমান। গত ৮ মাস ধরে তিনি হাসপাতালে আসছেন না।

দীর্ঘদিন ধরে এই তিন চিকিৎসক অনুপস্থিত থাকলেও তাদের জায়গায় কোনো নিয়োগ হচ্ছে না। ফলে রোগীদের সেবাদান ব্যাহত হচ্ছে। বিপাকে পড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও।

নাম না প্রকাশের শর্তে এক কর্মকর্তা জানান, দায়িত্ব পালনে অবহেলাকারীদের শাস্তি না হওয়ায় উদ্বেগজনক এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে শক্ত তদারকির অভাব। দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের দক্ষতায়ও ঘাটতি রয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বখতিয়ার আল মামুন জানান, আবু বকর সিদ্দিক ও সোমা হালদারকে একাধিকবার কর্মস্থলে যোগদানের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা এখনও কাজে ফেরেননি। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা চলমান। ডা. শাহানা রহমানকে কাজে যোগ দিতে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। সিভিল সার্জন অফিসকেও বিষয়টি সম্পর্কে জানানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রতি মাসেই চিকিৎসকদের তথ্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। যে হিসেবে মন্ত্রণালয় বিষয়টি সম্পর্কে জানে। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী এক চিকিৎসকের চাকরি হয়ত আর নেই। বাকি দুজনের মধ্যে একজন বিদেশে; অন্যজন কোথায় জানি না।

চিকিৎসক নিয়োগ সম্পর্কে তিনি বলেন, পদগুলো খালি না হওয়া পর্যন্ত পদায়ন সম্ভব না। ফলে নতুন করে চিকিৎসক পেতে সময় লাগবে। সেবাদান তো ব্যাহত হচ্ছে। অন্য চিকিৎসকরা সেই ঘাটতি মেটাতে কাজ করে যাচ্ছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২৪
এমএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।