ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১০ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৫ জুলাই ২০২৪, ১৮ মহররম ১৪৪৬

জাতীয়

কোনো ষড়যন্ত্র বাংলাদেশকে থামিয়ে দিতে পারবে না: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২৪
কোনো ষড়যন্ত্র বাংলাদেশকে থামিয়ে দিতে পারবে না: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা: কোনো ষড়যন্ত্র, কোনো ধরনের নৈরাজ্য বাংলাদেশকে থামিয়ে দিতে পারবে না বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

বুধবার (২৪ জুলাই) নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী সদরঘাট টার্মিনাল ভবনে ঘাট ও নৌ কর্মীদের মধ্যে খাবার ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে উন্নয়নের যে সড়ক, উন্নয়নের যে অভিযাত্রা, সে জায়গায় আবার নিয়ে যাব। কোনো ষড়যন্ত্র, কোনো ধরনের নৈরাজ্য বাংলাদেশকে থামিয়ে দিতে পারবে না। কেননা আমরা মুক্তিযুদ্ধের উত্তরাধিকার, মুক্তিযুদ্ধ হচ্ছে আমাদের প্রেরণা, মুক্তিযুদ্ধ হচ্ছে আমাদের সামনের পথ দেখানোর শক্তি। সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নিয়েই এ বাংলাদেশকে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করব। এ যাত্রায় কেউ বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না।

তিনি বলেন, একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এবং ছাত্রদের যৌক্তিক দাবিকে কেন্দ্র করে আমাদের এ অগ্রসরমান বাংলাদেশ, উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে সারা বিশ্বে যখন আমার খ্যাতি অর্জন করেছি, সেই বাংলাদেশের উন্নয়নকে কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা হলো, ধ্বংসপ্রাপ্ত করা হলো। আমরা মিয়ানমারের নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলমানদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে পৃথিবীর কাছে একটি মানবিক বাংলাদেশের স্বীকৃতি পেয়েছি, সেই মানবিক বাংলাদেশকে কীভাবে ক্ষত-বিক্ষত করা হলো।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু বির্নিমাণ করে আমরা সমগ্র পৃথিবীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলাম যে বাংলাদেশের মানুষ মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে, সেই বাংলাদেশকে সারা পৃথিবীর কাছে খাটো করার অপপ্রচেষ্টা করা হলো। আমাদের স্বপ্নের যে মেট্রোরেল সেখানে কীভাবে ক্ষত-বিক্ষত করা হলো। পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে যে টোলপ্লাজা ছিল; সেই টোলপ্লাজা ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। সেটা পারেনি, কিন্তু সেতু ভবন পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে এখন অনেক বেসরকারি ইলেকট্রনিক মিডিয়া রয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের কারণে আমরা অনেক কিছুতে সুবিধা পাচ্ছি। তবে এক সময় বাংলাদেশ টেলিভিশনই ছিল একমাত্র ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম। সেই বাংলাদেশ টেলিভিশন ধীরে ধীরে আজকের এ পর্যায়ে এসেছে। এ বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্ল্যাটফর্ম থেকে আমাদের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম- এত বড় পরিধি তৈরি হয়েছে। যেখানে দেশের মানুষের কথা বলা হয়। যেখানে দেশের কথা বলা হয়। সেই দেশের জাতীয় সম্প্রচার কেন্দ্র বাংলাদেশ টেলিভিশন পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানকার যে আর্কাইভ বাংলাদেশের ৫০ বছর, ৫৪ বছরে বাংলাদেশ কীভাবে ধীরে ধীরে আজকের এ পর্যায়ে পদার্পণ করেছে, তা এখানে সংরক্ষণ করা ছিল। সেই সংরক্ষিত ডকুমেন্টসগুলো পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। আপনি যদি জানতে চান আজ থেকে ১৫, ২০, ৩০, ৪০, ৫০ বছর আগে বিটিভি কি ধরনের সংবাদ পরিবেশন করেছে, কি ধরনের অনুষ্ঠান করেছে, আমরা বাংলাদেশ কোথায় ছিলাম; সেগুলো এখন আমরা দেখতে পারব না। কারণ সেই আর্কাইভ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ বলেন, এক সময় বলা হতো পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ। সেই দরিদ্র বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশে নিয়ে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটা কি তাদের কষ্ট। এ জন্য বাংলাদেশকে এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা। দেশের মানুষের যে সাহস এগিয়ে যাওয়ার সাহস, সেই সাহস মনোবলের ওপর যে আঘাত সেই আঘাতটা সামলে এগিয়ে নিতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে পাঁচশত ঘাট ও নৌকর্মীর মধ্যে খাবার ও ত্রাণ বিতরণ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২৪
এসকে/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।